ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন ইসরায়েলিরা। হঠাৎ করে কীভাবে কি হয়ে গেল বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
হামাসের হামলার ব্যাপকতা যে কতটা বিস্তৃত ছিল, এখন সেটিই ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে ইসরায়েলিদের ক্ষোভ। অনেক ইসরায়েলি মনে করছেন, তারা নিজ সরকারের দ্বারাই ধোঁকার শিকার হয়েছেন। কারণ সরকার তাদের একাধিকবার আশ্বস্ত করেছে— গাজা থেকে হামলার কোনো হুমকিই ছিল না।
এরমধ্যে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাস গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভয়াবহ এ হামলা চালানোর আগে— এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে পেরেছিল মিসর। আর সেসব তথ্য তারা ইসরায়েলকে জানিয়েছিল এবং সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছিল। মিসর বলেছিল, ‘গাজায় বড় কোনো কিছু হতে পারে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার সেগুলো আমলে নেয়নি। যদিও নেতানিয়াহু এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে মিসরের দেওয়া ওই সতর্কতার আরও কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। নতুন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরায়েলিরা। তারা এখন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক হুদা আব্দেল হামিদ পূর্ব জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, এই ইস্যুটা কত দূর যাবে সেটি নিশ্চিত নয়। তবে যুদ্ধের মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঐক্য সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহুর উপর বিষয়টি চাপ ফেলেছে। কারণ এখন তাকে দেখাতে হবে, এই যুদ্ধের মধ্যে তিনি একটি ঐক্য সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, একটি ঐক্যবদ্ধ দেশকে গাজার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাঠকের মতামত